ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংস্কারকাজ চলায় ১০ কিলোমিটারে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংস্কারকাজের ফলে সৃষ্ট যানজট। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বিজয় সরণী কলেজ এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট এলাকা থেকে সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ সোনাইছড়ি কবির স্টিল পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট হয়েছে। আট ঘণ্টার এ যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মহাসড়কের ভাটিয়ারি এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে মহাসড়ক সংস্কারকাজের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সংস্কারকাজ চলে। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হলেও গাড়ি চলেছে ধীরগতিতে। কোনো গাড়িকে একেবারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। কিন্তু চালকেরা ধৈর্যহীন হয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালালে যানজটের মাত্রা বাড়ে।

সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের ভাষ্য, আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে আসবেন। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারি থেকে চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে কার্পেটিং চলছে। এ ছাড়া সড়কটিকে সৌন্দর্য বর্ধনও করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাটিয়ারি এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে কার্পেটিংয়ের কাজ করছে সওজের বিভাগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড। চট্টগ্রামমুখী দুই লেন সড়কের এক লেনে কার্পেটিংয়ের কাজ চললেও অন্য লেন দিয়ে গাড়ি চলছিল। তাই গাড়ি চলাচলে ধীরগতি ছিল। এ কারণে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের তীব্রতা বাড়ে। বিকেলে এ যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। অনেক গাড়ি উল্টো পথে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট সবুর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সওজ কর্মকর্তারা চট্টগ্রামমুখী লেন একেবারে বন্ধ করে দিয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে উভয় দিকে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ কারণে যানজট তীব্রতর হয়ে ওঠে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গাড়ি ইউটার্ন করায়ও যানজট বাড়ে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের সদর এলাকার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কাল বুধবারও তাঁরা কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম থাকায় দ্রুত কাজটা সারতে চান।