রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের টেন্টের সামনে থেকে হালিমের দোকানটি সরাল ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে ছাত্রলীগের ট্রেন্টের সামনে থেকে হালিমের দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে তোলাছবি : প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টের সামনে থেকে ছাত্রদল কর্মীর হালিমের দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশে এই দোকান সরিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ (রাহী) প্রথম আলোকে বলেন, দোকানটি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের টেন্টে ছিল না। দোকানটি রাস্তার পাশে ছিল। ওই ছাত্র পরিবারের আর্থিক চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে উপার্জন করার জন্য দোকানটি দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তাঁরা কেউ জানতেন না। তবে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ছাত্রদল নামে সংবাদ প্রকাশ করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও তাঁরা জানতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এই দোকান বসাতে নিষেধ করেছে। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের পরামর্শ নিয়ে দোকানমালিককে নিয়ে দোকানটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করতে চায়। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের একক আধিপত্য ছিল। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত ১৬ জুলাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস ছাড়েন। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্যাম্পাসে ফিরে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে ছাত্রদল। ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার পর ১৫ থেকে ২০ দিন আগে ‘ইরানি হালিম বাজার’ নামের ওই দোকানটি বসানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম (অমি) সেখানে দোকানটি বসিয়েছিলেন। ফয়জুল ছাত্রদলের একজন কর্মী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুর রহমানের (সোহাগ) অনুসারী।

এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহাবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দোকানটির বিষয়ে তাঁরা অবগত ছিলেন। ওই শিক্ষার্থী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন পূজার ছুটির মধ্যেই দোকান সরিয়ে নেবেন। পরে তাঁরা সরিয়ে নিয়েছেন।