মজিবুরের ঘরের সঙ্গে আগুনে পুড়ল ঋণ করে আনা ২০ লাখ টাকা
গাজীপুরের কাশিমপুর থানার হাতিমারা এলাকায় চাকরিজীবী মজিবুর রহমান একটি জমি কেনার জন্য ব্যাংক ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণের সেই টাকা রেখেছিলেন নিজের ঘরেই। বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে সেই টাকাসহ তাঁর ২২টি কক্ষ পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
পরে আজ সকালে ঘর থেকে পুড়ে যাওয়া টাকার কিছু অংশ পেয়ে জড়ো করছিলেন মজিবুর রহমান। সেই টাকা সামনে রেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাঁকে নানাভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাড়ির মালিক মজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোররাত ৪টার দিকে পাশে একটি খরের গাদায় কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেন। সেখান থেকে পাশের জাকির হোসেনের গুদামঘরে ও এরশাদের অটোরিকশা গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাঁর বাড়িতে আগুন লাগে। ভাড়াটিয়া ও আশপাশের লোকজন আগুন নেভানো চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে তাঁর বসতঘর, ঘরে থাকা ২০ লাখ টাকা ও ভাড়া দেওয়া ২২টি কক্ষ পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পাশের একটি অটোরিকশা গ্যারেজ ও গুদামও পুড়ে গেছে।
মজিবুর রহমান আরও বলেন, তিনি একটি কারখানায় চাকরি করেন এবং পাশাপাশি ঘর ভাড়া দেন। তাঁর এক প্রতিবেশী কিছু জমি বিক্রি করবেন। সেই জমি কেনার জন্য কিছুদিন আগে সিটি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ছয় লাখ টাকা ঋণ নেন। আর আগে থেকেই ঘরে আট লাখ টাকা জমানো ছিল। কয়েক দিন আগে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে আরও ছয় লাখ টাকা ঋণ করে আনেন। জমি রেজিস্ট্রি করতে দেরি হওয়ায় টাকাগুলো ঘরের রেখেছিলেন। আগুনে ঘরের সব মালামাল পুড়ে গেছে এবং ঘরে রাখা এক থেকে দেড় লাখ টাকা বাদে বাকি সব টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যান। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।