গভীর রাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে মিতু আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মিরকাদিম পৌর এলাকার পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভোর পাঁচটার দিকে তাঁর স্বামী সুমন মিয়া মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

নিহত মিতু আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার নৈদিঘীর পাথর এলাকার মন্টু শিকদারের মেয়ে। প্রায় আট মাস আগে পূর্বপাড়া এলাকার সুমন মিয়ার (৪৫) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়ার প্রথম স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। মিতু আক্তারের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। আট মাস আগে পারিবারিকভাবে সুমন ও মিতুর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। পাঁচ মাস আগে সুমন মিয়ার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়া নিয়ে মিতুর সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। সুমন মিয়া মিতুকে নিয়ে পূর্বপাড়া এলাকার অন্য একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। সেখানেও তাঁদের ঝগড়াঝাঁটি চলছিল। কিছুদিন আগে সুমন মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী মিতু আক্তারকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে সুমনের সঙ্গে মিতুর আবারও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে মিতু আক্তারকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে থানায় এসে হাজির হন সুমন মিয়া। স্ত্রী মিতু আক্তারের দ্বারা মানসিক অশান্তির কারণে তিনি নিজ হাতে বঁটি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি অনুতপ্ত হয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান ওসি।