১০ ডিসেম্বর সরকার পতনের চূড়ান্ত আলটিমেটাম দেওয়া হবে

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকেলে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে
ছবি: আনিস মাহমুদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণ এখন রাস্তায় নেমেছেন। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে সরকার জনরোষ ঠেকাতে প্রশাসনের সহায়তা নিচ্ছে। তবে এসব করে জনরোষ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সরকার পতনের চূড়ান্ত আলটিমেটাম দেওয়া হবে।

আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, পুলিশি নির্যাতন এবং গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে বিকেল চারটার দিকে নগরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়
ছবি: আনিস মাহমুদ

বিএনপির নেতৃত্বে জনগণ মাঠে নেমে এসেছেন দাবি করে আমীর খসরু বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জনরোষের ভয়ে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে টিকে থাকতে চায়। এ জন্য হত্যা, নির্যাতন, হামলা, মামলার পথ বেছে নিয়েছে। তবে বিএনপির নেতৃত্বে জনগণ মাঠে নেমে এসেছে। এই আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণই বিএনপির অস্ত্র।

সভা শেষে বিকেল চারটার দিকে নগরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়। এর আগে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। দেশব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। তাই বিএনপিকে ঠেকাতে সরকার হামলা, মামলা, নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তবে এবার আর আওয়ামী লীগকে ছাড় দেওয়া হবে না।