অভিযোগ ‘অসম্পূর্ণ’ বলে ফেরত দিয়েছে পুলিশ, ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে টোলের টাকা চাওয়ায় কর্মচারীদের মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায়কে কেন্দ্র করে কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন সেতুর ইজারাদার। সেই অভিযোগ ‘অসম্পূর্ণ’ দাবি করে ফেরত দিয়েছে পুলিশ। এদিকে টোল প্লাজার ঘটনা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে প্রকৃত ঘটনা জানতে জেলা ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

শুক্রবার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে সৈয়দ মাস উদ রুমী সেতুর টোলের টাকা চাওয়ায় কর্মচারীদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত ছয়জন কর্মচারী আহত হন। বেলা ১১টার দিকে সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের হামলার পর সেতুর কর্মচারীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে ছাত্রলীগের ছয়-সাতজন কর্মী আহত হন। এ সময় তাঁদের অন্তত তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

সেতুর ইজারাদার পারভেজ আনোয়ার শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কুমারখালী থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগে কিছু ভুল আছে জানিয়ে সেগুলো সংশোধন করতে বলে পুলিশ। একই সঙ্গে শনিবার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে বলে জানায়। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগ করেনি।

জানতে চাইলে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, লিখিত অভিযোগ অসম্পূর্ণ ছিল। সেটা সংশোধন করে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁরা আর আসেননি।

আরও পড়ুন

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সেতুর টোল প্লাজায় শুক্রবার সকালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৌরভ খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জেলা শাখার দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সেতুর টোল প্লাজায় আসলে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, সেটা জানার জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুপারিশসহ তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তদন্ত প্রতিবেদনে যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সেতুর টোল আদায়কারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের আঘাত করেছেন। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।