কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি রিমান্ডে

জামাল হোসেন
সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. ইসমাইলকে (৩৬) রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে আনেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া।

জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনে ইসমাইল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, জামালকে হত্যার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। দোকানের সামনে অবস্থান করেন তিনি। এ নিয়ে জামাল হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া সাত আসামির মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হলো।

৯-১১ মে হত্যা মামলার আসামি তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার এবং মো. শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলমকে রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে এই দুই আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পর্যায়ক্রমে হত্যা মামলার আসামি মো. রবি, মো. শাহপরান, দেলোয়ার হোসেন ও মো. সাহিদুল ইসলামকে পুলিশ রিমান্ডে আনবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া বলেন, ইসমাইলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় দাউদকান্দির গৌরিপুর পশ্চিম বাজারের ঘটনাস্থলে ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন। তিনি জামালকে ঘিরে ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র জিম্মা রাখেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে সাময়িক বহিষ্কৃত) মাজহারুল ইসলাম ওরফে সৈকত। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাঁকে আজ শনিবার কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিরা ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ ব্যক্তি পুলিশ ও র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। অস্ত্র, বোরকা, মুঠোফোন, জুতা—সবই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখন কারা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন, সেটি বের করার চেষ্টা চলছে।

গত ৩০ এপ্রিল রাত আটটার পর দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর পশ্চিম বাজার বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকার সুমাইয়া কনফেকশনারির সামনে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে জামাল হোসেনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় নিহত জামাল হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় তিন আসামি এবং এজাহারের বাইরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আরেকজন আজ আদালতে জবানবন্দি দেবেন। অপর একজনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন