ময়মনসিংহে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী ওমর ফারুক হত্যায় চাচাসহ তিনজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ওরফে সৌরভ (২২) হত্যাকাণ্ডে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই তিনজনের মধ্যে ওমর ফারুকের চাচা ইলিয়াস উদ্দিন রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকি দুজনের নাম জানায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ওমর ফারুক হত্যায় তাঁর চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর লাশ গুমে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারও উদ্ধার করা হয়েছে।
ফারুক হোসেন জানান, ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং মূল হত্যাকারীসহ সহযোগীদের গ্রেপ্তার করার বিষয়ে আজ দুপুর দেড়টায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিহত ওমর ফারুকের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারাটি গ্রামে। তবে তাঁর পরিবার স্থায়ীভাবে ঢাকায় মতিঝিলে বসবাস করে। তাঁর বাবার নাম ইউসুফ আলী। ওমর ফারুক গুলশানের বেসরকারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত রোববার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সেতুর নিচে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সোমবার রাতে গ্রামের বাড়িতে ওমর ফারুকের মরদেহ দাফন করা হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউসুফ আলী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে নিহত ওমর ফারুকের মা পারুল আক্তারসহ অন্য স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, দুই পরিবারের অজ্ঞাতে গত ১২ মে ওমর ফারুক তাঁর চাচাতো বোনকে বিয়ে করেন। তাঁর চাচা ইলিয়াস উদ্দিন ওই বিয়ে মেনে নেননি। তখন তিনি ওমর ফারুকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।