ধর্ষণের অভিযোগে মামলা: টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিকে অব্যাহতি

টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা।

গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এ জন্য দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ১০ এপ্রিল দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আজ সোমবার জানাজানি হয়।

শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাঁর এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগণ দলের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছে। এমন অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো। চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করা হলো।

প্রসঙ্গত, গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করেন যে ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয়, ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন।

এদিকে গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁর ও তাঁদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।