বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে মালিকপক্ষ। এ জন্য আজ শনিবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া ওই জাহাজে থাকা কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরে হারবারিয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়া যাওয়ার কথা ছিল লাইটার জাহাজটির। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কয়লা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে পশুর নদের কানাইনগর এলাকায় তলা ফেটে ডুবে যায় ওই লাইটার জাহাজ।
আমরা লাইটার জাহাজের কয়লা অপসারণের জন্য ফারহা নামক একটি টাগবোট ও অপসারণ করা কয়লা রাখার জন্য মা বুশরা নামের অন্য একটি নৌযান নিয়ে এসেছি। উদ্ধারের জন্য আমরা প্রথমে কয়লা অপসারণের কাজ করছি।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উদ্ধার করা হবে জানিয়ে লাইটার জাহাজের মালিক মো. বশির আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা লাইটার জাহাজের কয়লা অপসারণের জন্য ফারহা নামক একটি টাগবোট ও অপসারণ করা কয়লা রাখার জন্য মা বুশরা নামের অন্য একটি নৌযান নিয়ে এসেছি। উদ্ধারের জন্য আমরা প্রথমে কয়লা অপসারণের কাজ করছি। কয়লা সরিয়ে জাহাজটি হালকা হলে অন্য নৌযানের সাহায্যে টেনে তোলা হবে।’ জাহাজের কয়লা অপসারণ শেষে চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
লাইটার জাহাজ ডুবলেও মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি দুর্বল হলে শুক্রবার বিকেলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়ার পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট ৩ জারি করে বন্দরে পণ্য ওঠানাম বন্ধ রেখেছিল। আবহাওয়া ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয় সব কার্যক্রম।