কম্বল পেয়ে খুশি বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ 

প্রথম আলো ট্রাস্টের বিতরণ করা কম্বল কাঁধে সলেমান সওদাগার। গতকাল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর নদীরঘাট এলাকায়।
ছবি: শাহ আলম

শৈত্যপ্রবাহে কাবু চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষ্ণপুরের মাথাভাঙ্গা নদীর পারের মানুষ। গতকাল বুধবার সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করল প্রথম আলো ট্রাস্ট।

কম্বল পেয়ে বেদে সম্প্রদায়ের সরদার আবদুল মান্নান সওদাগর বলেন, ‘কদিন ধরে হাড়কাঁপানো শীতির কষ্টের পর নতুন কম্বল বেদেদের তাঁবুগুলিতি ঈদির আনন্দ আইনা দিচে। ছোট-বড় সব্বাই খুশি।’

বেদেবহরের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য সলেমান সওদাগর বলেন, ‘কদিন ধইরা শীতির ঠ্যালায় ঘুমাতে পারিনি বাজান। আইজ কম্বল মুড়ি দিয়ে আরাম কইরে অ্যাট্টা ঘুম দেব।’

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জেহালা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রাম। সেখানে মাথাভাঙ্গা নদীর পারে খাসজমিতে তাঁবু করে বসবাস করছেন বেদে সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে বেদে সম্প্রদায় এবং কৃষ্ণপুর ও আশপাশের গ্রামের অসহায় ২০০ মানুষের হাতে কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে দুই দিন ধরে তাঁরা কৃষ্ণপুর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হতদরিদ্র মানুষদের খুঁজে বের করে তাঁদের হাতে টোকেন পৌঁছে দিয়েছিলেন। গতকাল কম্বল বিতরণ ছাড়াও বেদেবহরের শিশুদের মধ্যে ফলের জুস বিতরণ করা হয়।

কম্বল বিতরণকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বন্ধুসভার সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আল আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সানজিদ হোসেন, সদস্য মুনিম মালিক; সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আহাদ আলী ও সহকারী শিক্ষক জিল্লুর রহমান।

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।