শ্রীপুরে থানায় হত্যা মামলা নেওয়ার পর মহাসড়ক ছাড়লেন অবরোধকারীরা
গাজীপুরের শ্রীপুরে থানায় অটোরিকশাচালক হত্যাকাণ্ডে মামলা নেওয়ার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছেড়েছেন স্থানীয় লোকজন। শ্রীপুর পৌরসভার বেতঝুড়ি নতুনবাজার এলাকায় সকাল সাড়ে আটটা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। সোয়া তিন ঘণ্টা পর দুপুর পৌনে ১২টায় সড়ক থেকে সরে যান তাঁরা।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে অটোরিকশাচালক রিটন মিয়ার (৩৫) মৃত্যু হয়। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে শ্রীপুরের বেতঝুড়ি গ্রামে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর স্বজনদের অভিযোগ, তাকওয়া পরিবহন নামের একটি বাসের লোকজন রিটনকে হত্যা করে সড়কে ফেলে যান। রিটনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় স্বজনেরা হত্যা মামলা করতে চান। হত্যা মামলা না নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার মামলা নেওয়ার চেষ্টা করলে আজ সকাল সাড়ে আটটায় বেতঝুড়ি নতুনবাজার এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে তাঁরা মিছিল করতে থাকেন। শ্রীপুর থানা-পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অবশেষে এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই। মামলার কপি দেখার পর সড়ক থেকে সরে যান অবরোধকারীরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনজনের নামে মামলা করেছেন নিহতের ভাই। মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর সড়ক থেকে সরে গেছেন অবরোধকারীরা। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’