বান্দরবানের থানচিতে নৌকাডুবির ঘটনায় তরুণীর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও দুজন

লাশ
প্রতীকী ছবি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের আদাপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আদাপাড়ার চার কিলোমিটার দূরে নদের ভাটি এলাকায় লংরে খুমি (২১) নামের ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আদাপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হন লাংরে খুমি, তাঁর বাবা লামে খুমি (৪৫) ও ছাই অং খুমি (৩০) নামের আরও একজন। নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারে আজ সকালে অভিযান শুরু করেন থানচি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও যোগ দেন।

ফায়ার সার্ভিস ও থানচি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থল আদাপাড়া থানচি উপজেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারেননি। এ জন্য সকালে তাঁরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো দুজন নিখোঁজ আছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, রেমাক্রী বাজার থেকে যন্ত্রচালিত ছোট নৌকায় করে ৯ যাত্রী বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় আদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে সাঙ্গু নদের প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় অংলে খুমি পাড়ার লাবে খুমি, তাঁর মেয়ে লংরে খুমি এবং চয়অং খুমি পাড়ার ছাই অং খুমি নিখোঁজ হন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে থানচির সাংবাদিক মংবোওয়াংচিং মারমা জানিয়েছেন, রেমাক্রী বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে দুই পাড়ার ৯ জন বাড়ি ফিরছিলেন। সাঙ্গু নদে পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ও নৌকায় ধারণক্ষমতার বেশি লোক থাকায় পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। প্রচণ্ড স্রোতে সাঁতার কেটে ছয়জন তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তিনজন ভেসে যান।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন আরফাত বলেন, ঘটনাস্থলে কোনো মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক নেই। এ জন্য নৌকাডুবির সংবাদও দেরিতে পায় পুলিশ। রাতে দুর্গম এলাকায় যাওয়া কোনো মতেই সম্ভব নয়। তাই সকালে সেখানে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে।

থানচি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আদাপাড়ায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার করা তরুণীর লাশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।