রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সোহেল রানার (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১–এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় দেন। রায়ের সময় সোহেল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা রংপুর নগরের ধাপ মোহাম্মদপুর আটিয়াটারী এলাকার বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রেম করে পারিবারিকভাবে সুলতানা পারভীনকে বিয়ে করেন সোহেল রানা। বিয়ের সময় উপঢৌকন বাবদ ২০ হাজার টাকা ও সাংসারিক আসবাবপত্র দেন মেয়ের বাবা সুজা মিয়া। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে আরও এক লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য সুলতানাকে চাপ দিতে থাকেন সোহেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। সুলতানা এতে রাজি না হওয়ায় সোহেল তাঁর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। একপর্যায়ে বিয়ের ছয় মাস পর সুলতানাকে তাঁর বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন সোহেল। তবে মুঠোফোনে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতের খাওয়া সেরে সুজা মিয়া, তাঁর মেয়েসহ বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোরে মেয়ে সুলতানাকে ঘরে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকেন মেয়ের বাবা সুজা মিয়া। এ সময় সুলতানার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ির পাশের পাটখেতে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় সোহেল রানাসহ তাঁর পরিবারের ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সুলতানার বাবা সুজা মিয়া।

এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন। তিনি জানান, মামলার তদন্তে অন্য আসামিদের সম্পৃক্ততা না পাওয়া শুধু সোহেল রানার নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। প্রায় চার বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।