রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ পাবনা-৫ আসনে ‘নৌকার কান্ডারি’ হতে চান

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নৌকার মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাবনা শহরের জুবলি ট্যাংকপাড়ায় নিজ বাড়িতে
ছবি: প্রথম আলো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. আরশাদ আদনান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাবনা শহরের জুবলি ট্যাংকপাড়ায় নিজ বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তিনি এই আশার কথা জানান।

আরশাদ আদনান বলেন, ‘আমি পাবনা-৫ আসন থেকে নৌকার কান্ডারি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমি পাবনাবাসীদের জানাতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি মনোনয়ন চাইব এবং উনি মনোনয়ন দিলে পাবনার মানুষের জন্য কাজ করতে পারব।’

বাবার সম্মতি ও ইচ্ছাতেই নির্বাচনের মাঠে এসেছেন দাবি করে রাষ্ট্রপতিপুত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরপরই আমার বাবা পাবনার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উনি তাঁর সর্বোচ্চটুকু পাবনার মানুষের জন্য নিবেদিত করেছেন। এখন আমাকে (একমাত্র সন্তানকে) পাবনার মানুষের জন্য বলি করে দিয়েছেন। উনি বলেছেন, ‘‘তুমি পাবনায় যাও এবং পাবনার মানুষের জন্য কাজ শুরু করো।’’’

আরও পড়ুন

নিজের রাজনীতির ইতিহাস তুলে ধরে আরশাদ আদনান বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগ এবং পরবর্তী সময় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মাঝে ব্যবসায়িক কারণে রাজনীতি থেকে একটু দূরে ছিলেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরশাদ আদনানের দাবি, বাবার আদেশেই তিনি পাবনায় এসেছেন। নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থন পেতে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির মাঠে কাজ শুরু করেছেন। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং পাবনার ছেলে উল্লেখ করে আরশাদ বলেন, ‘তাই আমার দাবির একটা জায়গা তো আছে। ইতিমধ্যে আমি পাবনাবাসীর ব্যাপক সারা পেয়েছি। আমি চেষ্টা করব পাবনায় আওয়ামী লীগকে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে কাজ করতে। আমার কাজ হবে নৌকাকে জয়যুক্ত করার।’

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সহসভাপতি শহিদুর রহমান, পাবনা টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজিউর রহমান, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।