পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মোমবাতি ও চার্জলাইট আনার পরামর্শ

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন হলে সাময়িকভাবে পরীক্ষার হলে আলোর স্বল্পতা হতে পারে। সে জন্য পরীক্ষার্থীদের ছোট চার্জলাইট অথবা মোমবাতি সঙ্গে রাখতে হবে।

এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষার হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষের। শিক্ষার্থীরা জনে জনে মোমবাতি অথবা চার্জলাইট নিয়ে আসবে, বিষয়টি অদ্ভুত।

বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন স্নাতক তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা-২০২২-এর পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্নাতক তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১ হাজার ৩০০ জন। ২৩ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হবে ১৯ মে। আর মাত্র তিনটি পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু জেনারেটর না থাকার কারণে পরীক্ষার হলে সমস্যা হয়েছিল।

মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, ৬ মে পরীক্ষা ছিল। সেদিন বৈদ্যুতিক গোলযোগ হয়েছিল। মোমবাতি ও মুঠোফোনের আলো জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেনারেটরের বাজেট চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান হয়। সাতটি বিভাগে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) ও দুটি বিভাগে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আছে উচ্চমাধ্যমিকও। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে আট হাজার। কিন্তু শিক্ষক আছেন মাত্র ২৫ জন। অর্থাৎ ৩৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক।