সুনামগঞ্জে ‘গুরু-শিষ্য’ পালায় মুগ্ধ দর্শক

সুনামগঞ্জে পালাগান পরিবেশন করেন শিল্পী সূর্যলাল দাস ও নূর কাজল। সোমবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য–সংস্কৃতি তুলে ধরতে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে পালাগানের জমজমাট আসর হয়েছে। গণজাগরণের শিল্প আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে এই পালাগানের আসরের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সারা দেশেই এই পালাগান হচ্ছে।

সুনামগঞ্জে পালাগান পরিবেশন করেন সিলেটের সুপরিচিত পালাকার সূর্যলাল দাস, ঢাকার বিশিষ্ট বাউলশিল্পী নূর কাজল ও তাঁদের দল। পালার নাম ছিল ‘গুরু-শিষ্য’। পালাগানের বাণী ও সুরে মোহিত হয় আগত দর্শক–শ্রোতা।

সুনামগঞ্জের বাউলশিল্পী যোবায়ের বখত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পালাগান উপভোগ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর পালা শুনলাম। চমৎকার উপস্থাপন ছিল। সবার মতো আমিও মুগ্ধ।’ কিন্তু তাঁর আক্ষেপ, ‘এখন তো পালাগান হয় না বললেই চলে। আমাদের শেকড় সংস্কৃতির এই উত্তম উপাদান হারিয়ে যাচ্ছে। পালাগানে সঙ্গে যুক্তদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং একে ধরে রাখার উদ্যোগ চাই।’

পালাগান পরিবেশন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আপ্তাব মিয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক দেবদাস চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাবুল আচার্য, বাউল তসকির আলী, বিধান চন্দ্র বণিক, সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ।

পালাগান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী। পালাগান আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, পালাগান বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতির ঐতিহ্য। বর্তমানে পালাগানের ঐতিহ্যে ভাটা পড়েছে। সেই বিষয়টিকে অনুধাবন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারা দেশে পালাগানের আসর হচ্ছে।