এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
পটুয়াখালীর বাউফলে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চেতনানাশক ছিটিয়ে মা–বাবাকে অচেতন করার পর ওই পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক দুজন হলেন বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মো. বেল্লাল হোসেন (২৪) ও মো. ফয়সাল (২২)। ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর ছাত্রীর মা–বাবাকে অসুস্থ অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে মো. বেল্লাল হোসেন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। এই পরিস্থিতিতে এক বছর আগে তিনি তাঁর মেয়েকে অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। এরপরও বেল্লাল থেমে থাকেননি। বেল্লালের উত্ত্যক্তের মাত্রা বেড়ে যায়। শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে বেল্লাল ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল কৌশলে ঘরে ঢুকে তাঁর ও তাঁর স্বামীকে লক্ষ্য করে চেতনানাশক ছিটিয়ে দিলে তাঁরা অজ্ঞান হয়ে যান।
ওই ছাত্রীর এক স্বজন বলেন, বেল্লাল ও ফয়সাল ওই মেয়ের মা–বাবাকে অচেতন করার পর মেয়েটিকে হাত-পা বেঁধে মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর বেল্লাল বাড়ির কাছেই একটি স্থানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে চলে যান। একপর্যায়ে মেয়েটি ঘরের সামনে এসে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাঁরা মেয়েটির মা–বাবাকে অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেল্লাল ও ফয়সালকে আটক করে।
বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকেই আটক করা হয়েছে। ছাত্রীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।