ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বুধবার, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

মো. কামরুল ইসলাম, মো. শামীম আহমদ ও মো. ছইদুর রহমান চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। ভোটের হিসাব-নিকাশ শেষে বিজয়ী কে হবেন, এ নিয়েই এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শামীম আহমদ (নৌকা প্রতীক) ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. ছইদুর রহমান চৌধুরী (দেয়ালঘড়ি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক)।

শামীম আহমদ বলেন, ‘ভোটারেরা আমাকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

ভোটার ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। তবে নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মূলত আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম আহমদের সঙ্গে কামরুলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত বিএনপি কামরুলকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করেনি।

কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর অনুসারীরা বলছেন, উপজেলার সব পর্যায়ের ভোটারদের সঙ্গে কামরুলের সুসম্পর্ক আছে। তাঁদের সুখ-দুঃখে সব সময় তিনি পাশে ছিলেন। ভোটাররা তাঁকে নিরাশ করবেন না। ভোটের বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী ছইদুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে নির্বাচনী প্রচার শেষ হচ্ছে রোববার রাত ১২টায়। শেষ সময়ে প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীর হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মামলা নেই। এমনকি তাঁদের দায়দেনাও নেই। তবে তিনজন প্রার্থীই প্রবাসী আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসেবে পাওয়া টাকায় নির্বাচনের খরচ মেটাবেন বলে উল্লেখ করেছেন।