বগুড়ায় বাড়িতে বিস্ফোরিত বস্তুটি ছিল হাতবোমা: পুলিশ

বগুড়া জেলার মানচিত্র

বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকায় পুরোনো বাড়ি সংস্কার করার সময় বিস্ফোরিত বস্তটি হাতবোমা ছিল বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।

শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে আরও একটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা উদ্ধারের পর দলটি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করে, দুটিই ছিল হাতবোমা।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, কী ধরনের বিস্ফোরক তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলকে ডাকা হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে আরও একটি অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত করেছে, দুটিই ককটেলের চেয়েও শক্তিশালী ৮-১০ বছরের পুরোনো হাতবোমা। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বগুড়া শহরের অ্যাডওয়াড পার্ক–সংলগ্ন সূত্রাপুর এলাকার ওই বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একজন শ্রমিক আহত হন। তাঁর নাম আবদুল বাছেদ (৩৫)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। আবদুল বাছেদ বেসরকারি একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিস্ফোরণের পর পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রাখে এবং ঢাকায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলকে খবর দেয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাড়িটি প্রয়াত একজন জামায়াত নেতার। তবে তাঁর পদ–পদবি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাতবোমা দুটি ৮-১০ বছরের পুরোনো। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৩ সালে বগুড়ায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে জামায়াত-শিবির যে সহিংসতা চালিয়েছিল, সেই সময়ে হাতবোমা দুটি বাসায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে আরও তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশ জানায়, আধাপাকা বাড়িটির মালিক শহরের পার্ক রোডের সাইকেল যন্ত্রপাতির সাবেক ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ। ২০১৫ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ে সেউজগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিনা আকতার ওরফে শিউলি বাড়িটির দেখভাল করছিলেন।