ইশরাককে নিয়ে বিএনপি অবস্থান পরিষ্কার করবে: আবদুস সালাম

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলি গৌরাঙ্গবাড়িতে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতা–কর্মীদের নিয়ে তিনি গৌরাঙ্গবাড়ি ঘুরে দেখেনছবি: প্রথম আলো

ইশরাক হোসেন না থামলে সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে, বিএনপিকে সরকারের দেওয়া এই বার্তার বিষয়ে বিএনপি কী ভাবছে, জানতে চাইলে রাজশাহীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি দুই দিন থেকে রাজশাহীতে। এখন বিএনপি এ বিষয়ে চিন্তা করবে, অবস্থান পরিষ্কার করবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর প্রেমতলি গৌরাঙ্গবাড়ি পরিদর্শন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আবদুস সালাম। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে কথা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো চিন্তা নেই। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ১৫ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে একটি সভা করেন ইশরাক হোসেন। নগর ভবনে এটিই ছিল তাঁর প্রথম সভা। সভার ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা ছিল। সভার প্রধান অতিথি ছিলেন ইশরাক। এরপরও মেয়র হিসেবে কয়েকটি মতবিনিময় সভা করেছেন ইশরাক। এ প্রসঙ্গে আবদুস সালাম বলেন, ইসরাক ইস্যুতে সরকারের বার্তা নিয়ে বিএনপি অবশ্যই তার বক্তব্য স্পষ্ট করবে।

এ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণার ধরন প্রসঙ্গও তুলে ধরেন আবদুস সালাম। পোস্টার ছাড়া বিলবোর্ড ব্যবহার প্রসঙ্গে আবদুস সালাম বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার যাতে না হয়, সেদিকটা যেমন দেখতে হবে, তেমনি প্রচারণা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

এর আগে গৌরাঙ্গবাড়িতে অনুষ্ঠিত সভায় সীমান্ত দিয়ে ভারতের মানুষ ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) নিয়েও কথা বলেন আবদুস সালাম। এ বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত কেন পুশ ইন করবে, সেটা আমাদের প্রশ্ন। যদি কাউকে ফেরত পাঠাতেই হয়, তাহলে তারা সরকারকে বলবে, তা না করে পুশ ইন করা ঠিক নয়।’

বিএনপি সব ধর্মের ও মতাদর্শের দল উল্লেখ করে আবদুস সালাম জানান, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি হিন্দুদের জমি দখল করেছে। কোনো বিএনপি নেতা তাদের জমি দখল করেননি। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে খ্রিষ্টান, কে বৌদ্ধ—এসব রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বিবেচনা করে না। বিএনপি সব ধর্মের ও মতাদর্শের দল।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন