নাটোরে অস্ত্র দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ

স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে নাটোর শহরতলির দত্তপাড়া বাজারেছবি: প্রথম আলো

নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকারের নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্প ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাতে নাটোর শহরতলির দত্তপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকার ঘটনাস্থলে যান। তাঁর অভিযোগ, নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন। হামলাকারীদের মধ্যে নৌকার স্থানীয় কর্মী তাইজুলসহ চারজন ছিলেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের কিছু কর্মী বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দত্তপাড়া বাজারে নির্বাচনী অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে বসেছিলেন। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে চারজন ‘নৌকা’ প্রার্থীর কর্মী এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখান। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা ভয়ে কার্যালয় থেকে দৌড়ে পালায়ে যান। পরে হামলাকারীরা কার্যালয়ের প্লাস্টিকের কিছু চেয়ার ও নির্বাচনী সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘ট্রাক’ প্রতীকের বেশ কিছু পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। আশপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।

হামলার পর ঘটনাস্থলে যান আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, তাঁর কোনো নেতা-কর্মী বা সমর্থক ট্রাক প্রতীকের ক্যাম্পের ধারেকাছেই যাননি। ট্রাকের কর্মীরাই ক্যাম্পের কিছু চেয়ার ভেঙে ও পোস্টার ছিঁড়ে তাঁর কর্মীদের ওপর মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।