হবিগঞ্জে সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে উন্নত জাতের অর্ধশত গরু হস্তান্তর

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় শেভরন বাংলাদেশের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের গরু হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ১২টি সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে অর্ধশত গরু হস্তান্তর করা হয়েছে। শেভরন বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্টারপ্রাইজেসের (আইডিই) একটি প্রকল্পের অধীন গরুগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বক্তারপুর গ্রামে শেভরন বাংলাদেশের অর্থায়নে ‘প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেইন ও উন্নত জাতের গরু হস্তান্তর’ অনুষ্ঠান হয়।

শেভরন বাংলা‌দেশ পার্টনার‌শিপ ইনিশি‌য়ে‌টিভ প্রকল্প-২ নামের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠান দুটি অংশীদারত্বমূলক চুক্তি সই করে।

এর আওতায় সিলেট সদর, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এবং হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় ও জীবিকার উন্নয়ন এবং স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছে শেভরন বাংলাদেশ ও আইডিই।

অনুষ্ঠানে ১১০ জন উদ্যোক্তা এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক, প্রাণী স্বাস্থ্যবিমা ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান ও অ্যানিমেল ফিড কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের থাকার কথা ছিল। তবে তিনি আসতে পারেননি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাবিবুননবী, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টের সুপারিনটেনডেন্ট অ্যালান কয়েস চৌধুরী, শেভরন বাংলাদেশের ফিল্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার হাসান ইমাম। স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইয়ের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ মো. আফজাল হোসেন ভূঁইয়া।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম প্রজননের বিকল্প নেই। আমরা এ বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করছি প্রতিনিয়ত।’

অনুষ্ঠানে আসা বেতাপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্য মাসুদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সমিতির সদস্যসংখ্যা ৪০। নিজেরা চাঁদা দিয়ে তিন লাখ টাকার একটি তহবিল তৈরি করেন। শেভরন থেকে অনুদান পান আরও তিন লাখ টাকা। এই টাকা দিয়ে উন্নত জাতের পাঁচটি গরু কিনেছেন তাঁরা। এসব গরু লালন-পালনের পর বিক্রি করা হবে। এতে যে টাকা পাওয়া যাবে, এর ৮০ শতাংশ পাবেন সমিতির সদস্যরা। বাকি ২০ শতাংশ টাকা সমিতির তহবিলে জমা থাকবে। এভাবে তাঁদের সমিতিগুলো পরিচালনা করে আসছেন। এতে সহযোগিতা করছে আইডিই।

উপজেলার ফাদুল্লা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্য মো. রকিব বলেন, তাঁদের সমিতি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় পাঁচটি গরু কিনেছে। আগামী কোরবানি হাটে গরুগুলো বিক্রি করা হবে।