লালমনিরহাট সীমান্তে একজনের মৃত্যু, পরিবার বলছে বিএসএফের গুলিতে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীরা ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনার চেষ্টা করেন। এ সময় বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) গুলি ছুড়লে তিনি আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে বিজিবি বলছে, বিএসএফের গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা গ্রামে গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম বিপ্লব মিয়া ওরফে বিপুল (২২)। তিনি পাটগ্রাম ইউনিয়নের ধবলসূতী (গাটিয়ারভিটা) গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও বিপ্লবের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাতে মাস্টারপাড়া গ্রাম সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে বিপ্লব মিয়াসহ কয়েকজন গরু আনার চেষ্টা করেন। তাঁরা ভারতের কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা গ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের কাছে তাঁরা ধরা পড়েন। পরে বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে ও গুলি ছোড়ে। দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে এলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে বিপ্লব মিয়া আহত হন। তিনি কাঁটাতারের ওপারে কিছুক্ষণ পড়ে ছিলেন। পরে ভোরের দিকে তাঁর সঙ্গীরা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পথে তিনি মারা যান।
বিপ্লবের সঙ্গীরা পরে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা-পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
রংপুর-৬১ (তিস্তা-২) বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লাশ তো বাড়িতে পাওয়া গেছে। তাই বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন কি না, পুলিশ তদন্ত করছে। তা ছাড়া বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।