প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা–কাটাকাটির পর গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আসমা আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মানসুরাবাদ গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

আসমা আক্তার মানসুরাবাদ গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে সৌদিপ্রবাসী স্বামী ওলিউল্লাহর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আসমা আক্তারের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে।

মৃত নারীর শ্বশুর আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নাতিদের নিয়ে পাশের গ্রামে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরে দেখি, আমার পুত্রবধূ আসমা আক্তার ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় তাঁকে নিচে নামিয়ে আনি এবং পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। শুনেছি ভিডিও কলে ছেলের সঙ্গে আসমার কথা-কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে কথা হয়েছে, জানি না।’

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর গলায় ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী ওলিউল্লাহ সৌদিপ্রবাসী। ওই দিন বিকেলে গৃহবধূ আসমার সঙ্গে তাঁর স্বামীর মুঠোফোনে কথা বলার সময় কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।