শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে বের হয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল মুমিতের

মুমিত হাসান (১৯)
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মুমিত হাসান (১৯) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বাসাইল রেলগেট-সংলগ্ন স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সকালে শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।

নিহত মুমিত হাসান কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজনেরহাট এলাকার মো. মোমিন মিয়ার ছেলে। তিনি এবার নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বাসাইল রেলগেট–সংলগ্ন একটি বাসায় সাবলেট থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি।

রেলওয়ে পুলিশ, সহপাঠী ও স্থানীয় লোকজন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আরেক বন্ধুর সঙ্গে শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন মুমিত হাসান। রোববার তাঁর ভূগোল ও আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। কথা বলতে বলতে তাঁরা দুজন অসাবধানতাবশত রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনের ধাক্কায় মুমিত রেললাইনের পাথরে ছিটকে পড়েন। এতে তাঁর মাথা থেঁতলে যায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে যান। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এরই মধ্যে নিহতের স্বজনেরা ফাঁড়িতে এসে লাশ শনাক্ত করেন। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ।

কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, অসাবধানতাবশত রেললাইন পার হওয়ার সময় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ওই পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মুমিত হাসান আমাদের কলেজের মানবিক বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ছিল। তার মতো এমন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’