পাটগ্রাম থানায় হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

পাটগ্রাম থানায় হামলা–ভাঙচুর করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে তোলাছবি: প্রথম আলো

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা, ভাঙচুর এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাটগ্রাম পৌরসভার মির্জারকোর্ট এলাকার বাসিন্দা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহেল রানা (২৮), পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতি মাসুদ রানা (২৬) এবং উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের বাসিন্দা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম (৩৪)।

গত বুধবার রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলা চালানো হয়। ওই সময় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে থানা থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারীকে মারধর, সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও চুরি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই রাতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাবের সহযোগিতায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে তিনজন অজ্ঞাতনামা এবং একজন এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁরা হলেন উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, পাটগ্রাম ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম মানিক, পাটগ্রাম পৌরসভার ধরলা মোড় এলাকার স্থানীয় বাজারের নৈশপ্রহরী আবুল কালাম এবং পৌরসভার ভেতরবাজারের একটি রেস্তোরাঁর কর্মচারী আবদুর রশিদ।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, থানায় হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গত দুই দিনে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই মামলার প্রধান আসামি পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও পাথরমিশ্রিত বালুমহালের ইজারাদার বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির। মামলার দ্বিতীয় আসামি পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাথরমিশ্রিত বালুমহালের অপর ইজারাদার মাহমুদ হোসেন। তাঁদের গতকাল বিএনপি ও যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।