দুর্নীতির অভিযোগে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ৩ কর্মচারী আটক

আটকদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। গতকাল বুধবারছবি: প্রথম আলো

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তিন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ওই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে সেনাবাহিনী।

আটক ব্যক্তিরা হলেন হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ডাটা এন্ট্রি অ্যান্ড কন্ট্রোল অপারেটর লতিফা বেগম, কর্মচারী উসমান গনি ও উমেশ পাল।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাসপোর্ট–সংক্রান্ত কাজ করতে হলে টাকা দিতে হয়, এ ছাড়া ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সম্প্রতি ওই কার্যালয়ে দুই বার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। তখন অনিয়মের বিষয়ে কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক করা হয়। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি দল। এ সময় লোকজন নানা ভোগান্তি তুলে ধরেন। অভিযান চলাকালে লতিফা বেগম কার্যালয়ের একটি কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে বসে ছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেখানে অভিযান চলে।

রাতেই আটক তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইকুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সাজার বিধান নেই। তাই তিনি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন। পরে আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে আইনি জটিলতার কারণে জেলা পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেনি।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলার এখতিয়ার পুলিশের নেই; এ বিষয়ে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয় অফিসের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়া বলেন, সেনাবাহিনী কোন আইন বা অপরাধে সরকারি কর্মচারীদের আটক করেছেন সে বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, মানুষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দুর্নীতির তথ্য–প্রমাণ পেয়ে সেনাবাহিনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় এবং তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এখন পুলিশের দায়িত্ব তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের।