আনোয়ারা উপকূলে ৬ দিন ধরে নিখোঁজ ১৩ মাঝিমাল্লা

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৬ দিন ধরে নিখোঁজ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের ১৩ মাঝিমাল্লাসহ একটি ট্রলার। ট্রলারটি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবইদুল হক ও বটতলী ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের যৌথ মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। ৩ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় এফবি মা জননী নামের ওই ট্রলার।

নিখোঁজ মাঝিমাল্লারা হলেন ট্রলারের মাঝি মো. কালু মিয়া (৬০), ট্রলারের চালক আবদুল মান্নান (৩০), আলী হোসেন (৩২), মোহাম্মদ জালাল (২৮), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), রায়হান (২২), মহিউদ্দিন (৩৫), মো. মোরশেদ (২২), মো. রাশেদ (৩০) ও তাঁর ভাই মো. ছালাম (৪০)। অন্য তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি মালিকপক্ষ।

ট্রলারের মালিক ওয়াবইদুল হক বলেন, ‘গত শুক্রবারের পর থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারপরও আমরা দুটি ট্রলার দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি ১৩ জন মাঝিমাল্লাসহ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় এফবি মা জননী ট্রলার। এক দিন পর ট্রলারের চালক আবদুল মান্নান সাগরে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার কথা কোম্পানিকে মুঠোফোনে জানান। এ সময় তাঁরা সেন্ট মার্টিনের অদূরে ভাসছিলেন বলে জানালও এর পর থেকে তাঁদের আর কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ জেলে মো. মোরশেদের মা ফেরদৌস বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে করেছে। সংসারের খরচ মেটাতে সাগরে মাছ ধরতে যায় সে। এখন তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। জানি না ছেলেটার কপালে কী ঘটেছে।’

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সাগরে ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।