ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ভারত থেকে এল ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন

রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার রোগীকে স্যালাইন দিতে হয়
ফাইল ছবি : প্রথম আলো

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে ২৭ হাজার ৭৮০ ব্যাগ স্যালাইন দেশে এসেছে। বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় স্যালাইনবোঝাই ট্রাকটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে সোমবার ভারত থেকে ২৫ হাজার ৪৭০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হয়। এ নিয়ে দুই চালানে ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হলো।

বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্যালাইন আমদানির কথা বলেছিলেন। ওই দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেউ কেউ বলছেন, বাজারে স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য ভারত থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন দেশে আসবে।

আরও পড়ুন

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, দুটি চালানের মাধ্যমে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হয়েছে। শুল্কায়নসহ প্রতি ব্যাগের আমদানি মূল্য পড়ছে ৮০ টাকা। এরপর পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ যুক্ত হবে। ঢাকার ‘মেসার্স জাস করপোরেশন’ এ স্যালাইন আমদানি করেছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আবদুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, স্যালাইনের চালানটি ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে কয়েক দিন ধরে পড়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে জরুরি ভিত্তিতে পেট্রাপোল কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করে চালানটি দ্রুত ছাড় করানো হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও স্যালাইন আমদানি হবে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে। স্যালাইনের চালানটি সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে বন্দর ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল।

এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে আজ ৬৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের রোগীদের জন্য দিনে ৬০ ব্যাগের মতো স্যালাইনের প্রয়োজন। কয়েক দিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালে নরমাল ও ডিএনএস স্যালাইনের সরবরাহ বন্ধ আছে। বর্তমানে হাসপাতালে নরমাল ও ডিএনএস স্যালাইনের সংকট চলছে। হার্ডসল নামের স্যালাইন দিয়ে সংকট দূর করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন-অর রশিদ বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের স্যালাইনের সংকট চলছে। নরমাল স্যালাইন ১২ হাজার ও ডিএনএস স্যালাইন ১০ হাজার ব্যাগের চাহিদাপত্র অধিদপ্তরে পাঠানো আছে। অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সংকট দূর হয়ে যাবে।