ময়মনসিংহে সমন্বয়ক দাবি করা যুবক ও সহযোগী ভারতীয় চোরাই পণ্যসহ আটক

চোরাচালানের চিনি ও জিরাসহ আটক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া যুবক ও তাঁর সহযোগী। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলপুরে
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভারতীয় চোরাচালানের চিনি, জিরাসহ দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে দাবি করেছেন। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার আমুয়াকান্দা এলাকা থেকে ওই দুজনকে আটক করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

আটক যুবকেরা হলেন জিল্লুর রহমান ওরফে হৃদয় (২৮) ও মো. মাসুদ রানা (২৭)। জিল্লুর রহমান আমুয়াকান্দা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং মাসুদ রানা রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। জিল্লুর নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক দাবি করেছেন। তাঁর ফেসবুক আইডি ঘেঁটে দেখা গেছে, নিজের ফেসবুক পোস্টেও নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে পোস্ট দিয়ে আসছেন তিনি। এ ছাড়া ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সব কার্যক্রমেও অংশ নিয়ে আসছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার আমুয়াকান্দা এলাকার গুদামে ভারতীয় পণ্য মজুত রয়েছে—এমন খবর পান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আজ বেলা দুইটার দিকে সেখানে অভিযান চালান। ঘটনাস্থল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া জিল্লুর রহমান ও তাঁর সহযোগী মাসুদ রানাকে আটক করা হয়। গুদামটি থেকে ১২৭ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ১৬ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ করা হয়। এর বাইরে গুদামটি থেকে কাগজপত্রবিহীন একটি সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল, একটি সেলাই মেশিন ও ১৯৫টি খালি বস্তা জব্দ করা হয়েছে।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাদি বলেন, জিল্লুর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আজ অভিযান চালিয়ে সহযোগীসহ তাঁকে আটক করা হয়। অবৈধভাবে ভারতীয় মালামাল মজুত রাখার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁরা কত দিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। আপাতত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ফুলপুরে কাউকে লিডারশিপ দেওয়া হয়নি। আন্দোলনে তাঁর (জিল্লুর রহমান) কী ভূমিকা ছিল, সেটিও আমাদের জানা নেই। সেখানে যদি কেউ নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করেন, তাহলে কী করার আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হয়তো কর্মী হিসেবে থাকতে পারেন।’ আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘তিনি (জিল্লুর রহমান) যদি অন্যায় কিছু করে থাকেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি হবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’