ভৈরবে হরতাল ডেকে গ্রেপ্তার বিএনপির ৫ নেতাকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

বাঁ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি শাহিন মিয়া, সহসভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আধা বেলা হরতাল ঘোষণার পর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে আনা বিএনপির পাঁচ নেতাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে। ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর আজ সোমবার আদালতে আবেদনটি করেন। আজ অথবা আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে আবেদনের শুনানি হতে পারে।

গ্রেপ্তার নেতারা হলেন—পৌর বিএনপির সভাপতি শাহিন মিয়া, সহসভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। তাঁরা গত শনিবার অজ্ঞাত স্থানে বসে ভৈরবে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘোষণার আট ঘণ্টা পর পুলিশ তাঁদের সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর বলেন, মামলার অগ্রগতির জন্য গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তাঁদের টানা কয়েক দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে মামলাটির দ্রুত অগ্রগতি হবে। সেই কারণে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, এর আগে শনিবার ভোরে ভৈরবে এক যুবলীগ নেতার বাড়ি থেকে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) পরিচয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপসাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ অঞ্চল) ও জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমকে তুলে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে নেওয়া হয় ভৈরব উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুজ্জামান, শরিফুল ইসলামের গাড়ির চালক রতন মিয়া এবং বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলামকে। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ওই দিন দিবাগত রাত একটার দিকে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে আটক হন। শরিফুল আলমসহ বিএনপির তিন নেতাকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার পাঁচ নেতা হরতালের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর এখন পর্যন্ত ভৈরবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। তিন মামলায় মোট আসামি সাড়ে তিন হাজার।
পুলিশ জানায়, সিলেট থেকে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে নাশকতা চালানো ও সন্ত্রাস দমন আইনে করা দুটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।