কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা পেছনের তারিখের ফুটেজগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। সিসিটিভি ক্যামেরার বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট থাকায় ফুটেজগুলো নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় ধরে সংরক্ষিত হয়নি। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট তারিখের ফুটেজ দেখতে গেলে কখনো ১৯৭০, আবার কখনো ২০০৪ সাল দেখাচ্ছে।
শনিবার সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে গিয়ে সমস্যাটি ধরা পড়ে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে কর্তৃপক্ষ ফুটেজ উদ্ধারে কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অ্যানালিস্ট নাঈম মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, রোববার সকালে হলের একজন হাউস টিউটর সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে তাঁকে হলে ডাকেন। তিনি সকাল ১০টার দিকে হলে গিয়ে দেখেন, সিসিটিভির বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে আছে। আগের ধারণ করা কোনো ফুটেজ দেখতে গেলে কখনো ১৯৭০ সাল, আবার কখনো ২০০৪ সাল দেখাচ্ছে। নির্দিষ্ট তারিখের কোনো ফুটেজ দেখতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়াকে কেন্দ্র করে এমন সমস্যা তৈরি হয়। তখন ফুটেজ ইনিশিয়াল তারিখ হিসেবে সংরক্ষিত হয়। ফুটেজ হার্ডডিস্কে থাকে। সেখান থেকে রিকভারি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হল সূত্র জানায়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ভেতরে-বাইরে সব মিলিয়ে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। সব কটিই সচল। ডাইনিংয়ের প্রবেশমুখে আছে একটি ক্যামেরা। ওই ক্যামেরার আওতায় হলের গণরুমসহ ডাইনিংয়ে যাতায়াতের দৃশ্য ধারণ করা হয়। ফুটেজ হল প্রভোস্টের কক্ষ থেকে মনিটরিং ও রেকর্ড করা হয়।
আইসিটি সেলের পরিচালক আহসানুল আম্বিয়া বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা কাল আবার কাজ করবেন।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলম বলেন, টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে ধারণ করা ফুটেজ দেখতে সমস্যা হচ্ছে। আইসিটি সেল বিষয়টি দেখছে। আশা করা যাচ্ছে, ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
হলের ডাইনিং কক্ষের ভেতরে গণরুমে গত রোববার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতন করা হয়। সাড়ে চার ঘণ্টা নির্যাতনের পর ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানান ফুলপরী। তিনি এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেত্রীদের নামসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।