বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে আগুন আতঙ্কে রোগী-স্বজনদের মধ্যে হুড়োহুড়ি

আগুন লাগার খবর পেয়ে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে হাসপাতালের নিচে নেমে আসেন রোগী ও স্বজনেরা। শনিবার বিকেলে বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগার খবরে রোগী, স্বজন, চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগী, স্বজন, চিকিৎসক ও নার্স হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে এসে হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে হাসপাতালের নিচতলায় লিফটের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিকেল চারটার দিকে নিচতলায় পরিচালকের কক্ষে যাওয়ার ফটকসংলগ্ন এলাকায় এসির জেনারেটরের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। এতে পুরো হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন রোগী ও স্বজনেরা হুড়োহুড়ি করে দ্রুত নিচে নেমে আসেন। পরে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রোগী ও স্বজনদের পুনরায় ওয়ার্ডে ফিরিয়ে নেন।

হাসপাতালের ফটকে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বলেন, পরিচালকের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে লিফটের পাশে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দুপুরে হাসপাতালের তৃতীয় তলার এক রোগীকে দেখতে আসেন ইমরান হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটার দিকে হঠাৎ রোগী ও স্বজনদের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সবাইকে চতুর্থ তলা থেকে নিচে নামতে দেখে তৃতীয় তলার রোগী ও স্বজনেরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাঁরাও আতঙ্কে দ্রুত নিচে নেমে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেন। তখন সেখানে অসংখ্য লোক জড়ো হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার খবর দেয় এবং সবাইকে যাঁর যাঁর ওয়ার্ডে ফিরে যেতে বললে সবাই ফিরে আসেন।

হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইনের তার অনেক পুরোনো। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো ফল হয়নি। আজ আবার এমন ঘটনা ঘটায় রোগী, স্বজন, চিকিৎসকসহ সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সবাই নিচে নেমে আসেন।

পরিচালক আরও বলেন, প্রশাসনিক ভবনের পাশে শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে। হাসপাতালের স্টাফরা সবাই ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, বিষয়টি পুনরায় মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে এবং পুরোনো তার পাল্টে নতুন তার সংযোজন করলে সমস্যার সমাধান হবে।

বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচে নেমে জড়ো হয়েছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।