‘আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, হাসপাতালটি যেন নীলফামারীতে হয়’
চীন সরকারের উপহারের এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের জন্য নীলফামারীতে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। আজ বুধবার বিকেলে তিনি জেলা সদরের দারোয়ানীতে প্রস্তাবিত ওই স্থানটি পরিদর্শন করেন। প্রস্তাবিত এলাকাটি দারোয়ানী সুতা কলের জমি। দীর্ঘদিন ধরে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
পরিদর্শন শেষে যুগ্ম সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আজকে রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছি। রংপুর বিভাগে যেহেতু এসেছি, তাই নীলফামারীর প্রস্তাবিত স্থানটি দেখতে এসেছি। স্থানটি কতটুকু ভালো হবে, সেটি টেকনিক্যাল টিম ভালো বলতে পারবে। আপনারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, হাসপাতালটি যেন নীলফামারীতে হয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো. আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার, দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
মুস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রধান উপদেষ্টা চান চীন সরকারের উপহারের এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি রংপুর বিভাগে হোক। তিনি চান এ অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাক। এ ক্ষেত্রে তিনি রংপুর বিভাগের কোনো জেলার নাম উল্লেখ করেননি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারীর এ স্থানটির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।
দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলটি জেলা সদরের দারোয়ানীতে ১০৮ দশমিক ৫২ একর জমিতে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মিলটির কার্যক্রম দিন দিন সীমিত হয়ে এসেছে। এর পাশেই রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি ক্যাম্প। কাছেই উত্তরা ইপিজেডের অবস্থান। সেখানে বিনিয়োগকারী চীনের একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে দেশটির অসংখ্য নাগরিক অবস্থান করে কাজ করছেন। ইপিজেডটিতে বর্তমানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৪০ সহস্রাধিক মানুষের। প্রস্তাবিত জায়গায় হাসপাতালটি স্থাপিত হলে ইপিজেডে অবস্থানকারী চীনের নাগরিকেরাসহ এলাকার সব মানুষ চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
এর আগে ২২ এপ্রিল প্রস্তাবিত জায়গাটি পরিদর্শন করেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ। তিনিও জায়গাটির বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, দারোয়ানীতে টেক্সটাইল মিলের পরিত্যক্ত জায়গাটিতে চীনের প্রস্তাবিত হাসপাতাল স্থাপন নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
চীনের প্রস্তাবিত হাসপাতালটি পেতে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি তুলছেন। এ প্রসঙ্গে হারুন অর রশিদ বলেন, ফেসবুকে যা লেখালেখি চলছে, এসব নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। চীন সরকারের প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে এবং এ স্থানেই হবে।