দিনে রহস্যজনকভাবে পরিবারের সবাই অসুস্থ, রাতে বাড়িতে ডাকাতি

শ্রীপুরের দক্ষিণ সিমলাপাড়ায় ডাকাত দল একটি বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়ছবি: সংগৃহীত

সকালে নাশতা খাওয়ার পর রহস্যজনকভাবে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে গিয়ে তাঁরা চিকিৎসা নেন। অসুস্থতার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় রাতে সকাল সকাল সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে ডাকাত দল। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ সিমলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের জামাল মাসুদের বাড়িতে রাত দুইটার দিকে ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতেরা অন্তত ছয়জন ছিল। মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁর গলায় ছুরি ধরে সবকিছু নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জামাল মাসুদ।

জামাল মাসুদ জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের সবাই মিলে তাঁরা নাশতা করেন। নাশতা শেষে তিনি বাড়ির বাইরে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। গিয়ে দেখেন, পরিবারের অন্য চার সদস্যও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তিনিসহ স্বজনেরা মাওনা চৌরাস্তার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য যান। চিকিৎসা শেষে দুপুরের পর তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসেন। শারীরিক অসুস্থতার ধকলে রাতে আগেভাগে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এরপর মধ্যরাতে বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়।

জামাল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত দুইটার দিকে হঠাৎ তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। ডাকাতেরা তাঁর গলায় ছুরি ধরে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র দিতে চাপ দেয়। অস্ত্রের ভয়ে তিনি স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা সব দিয়ে দেন। পরে ডাকাতেরা পালিয়ে গেলে তাঁর চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসেন।

জামালের ছেলে মো. সুজন বলেন, শব্দ পেয়ে তিনিও জেগে ওঠেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখায় তিনি কাউকে ডাকতে পারেননি। তাঁর বাবা ও তিনি ভয়ে সব জিনিসপত্র দিতে বাধ্য হন।

প্রতিবেশী আকবর আলী প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর ওই বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। ভেতরে আলমারি, ড্রয়ার ও অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।

শ্রীপুর থানার অধীন মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হক বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি। খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় তাঁরা অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’