দুর্গাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা সুব্রত সাংমা (৪৮) মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত সুব্রত সাংমার চাচাতো ভাই ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, হামলায় আহত সুব্রত সাংমা টানা ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মারা গেছেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। সুব্রত সাংমা কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন ও সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত প্রমোদ মানকিনের ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জেরে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের রাশিমনি বাজারে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুল আওয়াল এবং তাঁর ভাই মো. শামিম আহমেদের নেতৃত্বে সুব্রত সাংমার ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন রাতে সুব্রত সাংমার বোন কেয়া সাংমা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ তাঁর ভাই শামিম, মো. বদিউজ্জামানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর আসামিরা আদালত থেকে আগাম জামিন নেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন। যেহেতু সুব্রত সাংমা মারা গেছেন, মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
এর আগে হামলার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর দুপুরে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের দুর্গাপুর পৌরসভার উতরাইল বাজার এলাকায় বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস), ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এ নিয়ে ২ অক্টোবর প্রথম আলোতে ‘সাবেক চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।