চাঁদপুরে নকল সরবরাহের দায়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কারাদণ্ড

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের দায়ে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁকে দুই বছর কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই সাজা দেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত।

দণ্ডপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নাম মো. ছায়েদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করার সময় কয়েকজন শিক্ষককে ছোটাছুটি করতে দেখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত। নকলের বিষয়টি আন্দাজ করে তিনি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করেন। শ্রেণিকক্ষের বাইরে ও পরীক্ষাকেন্দ্রের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে অসংখ্য প্রশ্নের হাতে লেখা সমাধান পাওয়া যায়। এতে নিশ্চিত হওয়া যায়, শিক্ষকদের ইঙ্গিতে পরীক্ষার্থীরা নকল জানালা দিয়ে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ফেলে দিয়েছিল।

হাতে লেখা সমাধান করা ফটোকপির বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলাম পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫ থেকে ৩০ কপি হাতে লেখা নকলের প্রিন্ট বের করেছেন। একপর্যায়ে তাঁর মুঠোফোন তল্লাশি করে হোয়াটসঅ্যাপেও শ্রেণিকক্ষের বাইরে থেকে উদ্ধার করা হাতে লেখা নকলের হুবহু ছবি পাওয়া যায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলামের এক ছাত্র প্রশ্নের সমাধান করে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে কক্ষে কক্ষে নকল সরবরাহ করেন। এ ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করায় তাঁকে (ছায়েদুলকে) এই সাজা দেওয়া হয়েছে।