কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় বিভিন্ন এলাকায় ছুটছেন মেয়র প্রার্থীরা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। প্রচারণার তৃতীয় দিনে আজ রোববার সকাল থেকেই প্রচারণা শুরু করেন চার মেয়র প্রার্থী। তাঁরা নগরের উন্নয়নের স্বার্থে নিজেদের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করেন।
এবার মেয়র নির্বাচনে চারজন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে তাহসীন বাহার ‘বাস’ প্রতীক, মনিরুল হক ‘টেবিলঘড়ি’ প্রতীক, মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন ‘ঘোড়া’ প্রতীক ও নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম ‘হাতি’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাহসীন বাহার স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর মাহমুদ তানিম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। মনিরুল হক দুবারের সাবেক মেয়র। আর নিজামউদ্দিন গত নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৯৯ ভোট পান।
বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার সকালে নগরের নূরপুর চৌমুহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক নারী ভোটার তাঁকে ঘিরে রাখেন। তাহসীন বাহার স্মার্ট নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
টেবিলঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সকালে কুমিল্লা হাইস্কুল এলাকা, কান্দিরপাড়, রানির বাজার, বাদুরতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই সাড়া পাচ্ছেন দাবি করে প্রচারণায় মনিরুল হক অভিযোগ করেন, ‘আমার এক কর্মীকে গতকাল শনিবার মারধর করা হয়। পুলিশকে বলেছি। পুলিশ এসে ঘটনা জেনেছে।’
হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরের চকবাজার তেলিপট্টি এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের হাতি প্রতীকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নগরের গন্ধমতি, কোটবাড়ি, শালবন এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, তরুণেরা এবার আরও বেশি করে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দেবেন।
প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচারণার পাশাপাশি বেলা দুইটার পর থেকে মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে নগরে মাইকিং হচ্ছে। চার প্রার্থীর পক্ষে তাঁদের সমর্থকেরাও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আরফানুল হক (রিফাত) মেয়র হন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আরফানুল হকের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে মেয়র পদ শূন্য হয়। শূন্য পদে আগামী ৯ মার্চ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট হবে।