টাঙ্গাইলের ঘাটাইল আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আবার মুখোমুখি

শহিদুলকে ঘাটাইলে প্রতিহত করার ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিডি করেছেন শহিদুল। 

আমানুর রহমান খান ও শহিদুল ইসলাম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওরফে লেবু। অপর পক্ষে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ওরফে রানা। আমানুর এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে। 

এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন আমানুরের পক্ষের দুজন। এ ঘটনার জন্য শহিদুলের পক্ষকে দায়ী করেছে আমানুরের পক্ষ। শহিদুলকে ঘাটাইলে প্রতিহত করার ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য থানায় জিডি করেছেন শহিদুল। এ নিয়ে দুই পক্ষ আবার মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে এখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে স্থান পাননি আমানুরসহ তাঁর অনুসারীরা। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি মিছিল, সমাবেশ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার শহিদুলের অনুসারীদের হামলায় পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হায়দার তালুকদার ও আমানুরের কর্মী মো. জুনায়েদ আহত হন। ওই দিন বিকেলে আমানুরের অনুসারীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাঁরা এ হামলার জন্য শহিদুল এবং তাঁর অনুসারী আবু সাঈদ ওরফে রুবেলকে দায়ী করেন। তাঁরা শহিদুলকে উপজেলা পরিষদে ঢুকতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেন। হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটাইল থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, গত বুধবার ঘাটাইল কলেজ মোড় এলাকায় সমাবেশ করে আনেহলার ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। সমাবেশে ঘোষণা করেছেন, তাঁকে উপজেলা পরিষদে ঢুকতে দেবেন না এবং উপজেলা পরিষদের কোনো কাজকর্ম করতে দেবেন না। উপজেলা পরিষদে কার্যক্রম করতে গেলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলবেন। 

তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান আমানুরের অংশের নেতা। তিনি আনেহলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। তিনি জানান, শহিদুলের নির্দেশে তাঁর অনুগত রুবেলের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি (শাহজাহান) শহিদুলকে হত্যার হুমকি দেওয়া কথা অস্বীকার করেন।

শহিদুল জানান, তাঁরা সুযোগ পেলে তাঁর ওপর হামলাসহ বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেকমত সিকদার বলেন, আমানুরের অনুসারীরা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঘাটাইলে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা হবে। সেখানে তাঁদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।