জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাবিপন্ন পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাবিপন্ন হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে বন্য প্রাণী–সংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা কচ্ছপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিশমাইল এলাকায় কয়েকটি শিশু কচ্ছপটি নিয়ে খেলছিল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী অরিত্র সাত্তার দেখতে পান। তিনি কচ্ছপটি বাসায় নিয়ে আসেন এবং বন বিভাগকে খবর দেন। এরপর আজ বন্য প্রাণী–সংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা কচ্ছপটি নিয়ে যান।
শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, ‘বিশমাইল এলাকায় এ বিপন্ন প্রজাতির পাহাড়ি কচ্ছপটি আমি দেখতে পাই। কয়েকজন বাচ্চা এটি নিয়ে খেলা করছিল। তারপর তাদের বুঝিয়ে আমি এটি বাসায় নিয়ে আসি। এটা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে না, তাই বন বিভাগকে খবর দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে বন্য প্রাণী–সংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তা (প্রাণী সংরক্ষক) জসিম শেখ প্রথম আলোকে জানান, এটি মূলত মহাবিপন্ন প্রজাতির হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ। এরা ডাঙায় বসবাস করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এটার জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রাণীটি নিয়ে যাচ্ছি। পরে আমাদের সিনিয়র স্যারেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এদের উপযুক্ত পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান জানান, হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপটি মূলত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বাস করে। কালেভদ্রে সিলেট অঞ্চলেও পাওয়া যায়। এরা পানিতে বাস করে না। তিনি বলেন, মূলত ডাঙায় এদের আবাসস্থল এবং শাকসবজি–জাতীয় তৃণ খেয়ে বেঁচে থাকে। অনেকে এ জাতের কচ্ছপ পোষার জন্য নিয়ে আসে। মনে করে, পুকুরে তারা ছেড়ে দেবে। কিন্তু এরা পানিতে থাকে না, ডাঙায় থাকে। তখন তারা ছেড়ে দেয়। এটাও হয়তো সে রকম কিছু হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে এসব কচ্ছপ বাস করতে পারবে না, বিষয়টি এমন নয়। তবে যেহেতু এটা পাহাড়ি বিপন্ন প্রাণী, কাজেই এদের পাহাড়ের উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া যৌক্তিক হবে।