মাদারীপুরে দুই যুবককে হাতুড়িপেটা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা
মাদারীপুর সদর উপজেলায় দুই যুবককে হাতুড়িপেটা করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাগদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই যুবক হলেন অটোরিকশার যাত্রী মেহেদি হাসান (২৮) ও অটোরিকশার চালক তুষার খান (৩০)। মেহেদি সদর উপজেলার কুলপদ্বী গ্রামের এনসান মিয়ার ছেলে। তিনি দারাজ কোম্পানির স্থানীয় একটি কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। আর তুষার খান খাগদী এলাকার দেলোয়ার খানের ছেলে। তিনি ওই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক।
আহত তুষারের মা রীনা বেগম বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। আমার ছেলে ইজিবাইক চালিয়ে খায়, এতেই সংসার চলে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী, স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অফিসের কাজ শেষে শহরের ইটেরপুল থেকে তুষার খানের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন মেহেদি হাসান। পথে কলেজগেট এলাকায় এলে কয়েকজন যুবক ওই অটোরিকশায় ওঠেন। তাঁরা অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে খাগদী এলাকায় নিতে বাধ্য করেন। সেখানে নিয়ে তাঁরা অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন আরও ৮-১০ জন। বাধা দিলে ওই যুবকেরা মেহেদি হাসান ও অটোরিকশাচালক তুষারকে হাতুড়িপেটা করেন। দুজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে গুরুতর অবস্থায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত মেহেদি হাসান বলেন, ‘খাগদী এলাকায় ওই যুবকেরা ইজিবাইক থেকে নামতে বলে আমাদের। আমরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমাদের দুজনকে ইচ্ছেমতো হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে আমরা দুজনই অচেতন হয়ে পড়ি। এদের কাউকেই আমরা চিনি না। এদের সঙ্গে কোনো বিরোধও আমাদের নেই। এ ঘটনার বিচার চাই।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদ আরেফিন বলেন, হাতুড়িপেটায় আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে এসেছেন। তাঁরা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, হাতুড়িপেটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল—দুই জায়গাই পুলিশ পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।