সিরাজগঞ্জে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে তলব

আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও আবদুল মমিন মণ্ডল
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মমিন মণ্ডল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

বুধবার সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল রানা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উভয় প্রার্থী গত ২৮ নভেম্বর বেলকুচি উপজেলা চত্বর, বেলকুচি-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ও বেলকুচি বাজার এলাকায় পৃথকভাবে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা এবং সভা-সমাবেশ করেছেন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮–এর ৬ (ঘ) ও ১২ নম্বর বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। ফলে উভয় প্রার্থীকে ১১ ডিসেম্বর বেলা একটার মধ্যে শাহজাদপুরে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে সশরীর উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল মমিনের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে এ বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, ‘নোটিশে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের জানা মতে, এমনটি আমরা করিনি। তবে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এমনটি কেউ করে থাকলে, সে বিষয়টি আমরা জানি না। যেহেতু নোটিশ করা হয়েছে, তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে আমরা জবাব উপস্থাপন করব।’

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা নোটিশে উল্লেখিত নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো কাজ করিনি। তবে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সশরীর উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমি এ বিষয়ে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করব। সেই সঙ্গে কোনোভাবেই যাতে করে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয়, সে বিষয়েও দৃষ্টি রাখছি।’