গোসলের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতাহত শিশুদের নেওয়া হয় রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিদ্যুৎ–চালিত পাম্পের পানিতে গোসল করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুরা হলো সোনাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলামের মেয়ে মাহি আক্তার (৯) এবং সোনাপুর গ্রামের বদ্দু মিয়ার মেয়ে বিন্দু আক্তার (৯)। আহত শিশু মারিয়া আক্তার (৮) একই গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। নিহত দুজনই সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং হতাহত শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে ওই শিশুরা বাড়ির মোটর পাম্পে গোসল করতে গেলে মাহি আক্তার প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাঁকে ছাড়াতে এগিয়ে আসে অপর দুই শিশু, এ সময় তারাও বিদ্যুৎতায়িত হয়। পরে শিশুদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে মোটর পাম্পের সুইচ বন্ধ করে আহত শিশুদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবরিনা ছাত্তার ওই দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে আহত শিশু মারিয়া আক্তারকে হাসপাতালে না নিয়ে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ।

নিহত মাহি আক্তারের প্রতিবেশী ফাহিমা আক্তার বলেন, মাহি আক্তারের মা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। আর তাঁর বড় বোন ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে দুই সহপাঠীর সঙ্গে মাহি বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করে। গোসল শেষে তারা বাড়ির বিদ্যুৎ–চালিত মোটর পাম্পে গোসল করতে যায়। এ সময় মাহি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিন্দু আক্তার ও মারিয়া আক্তারও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে মারিয়া আক্তারের ডাকাডাকিতে স্থানীয় লোকজন এসে মোটর পাম্পের সুইচ বন্ধ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, একই গ্রামে দুই শিশু শিক্ষার্থীর অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।