কুষ্টিয়ায় টেনেহিঁচড়ে নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
কুষ্টিয়ায় টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে নারী চিকিৎসক ও তাঁর স্বামীকে মারধরের প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কুষ্টিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের কয়েকজন শিক্ষকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
চিকিৎসকেরা জানান, দ্রুততম সময়ে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হোক। একই সঙ্গে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকেরা যাতে নির্বিঘ্নে নিজেদের সেবা কার্যক্রম চালাতে পারেন, তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
বক্তারা জানান, ৫ মে সোমবার দুপুরে চিকিৎসক শারমিন সুলতানা (৩৭) শহরের কোর্টপাড়া র্যাব গলির লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ফোনকল পেয়ে রোগী দেখতে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর রিকশা থেকে নামামাত্রই ওত পেতে থাকা কয়েকজন নারী তাঁকে মারধর করেন। তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে জখম করা হয়। খবর পেয়ে তাঁর চিকিৎসক স্বামী মুহাম্মদ মাসুদ রানা ও গাড়িচালক ওই নারী চিকিৎসককে রক্ষা করতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের সঙ্গে থাকা স্মার্টফোন, সোনার গয়না ও দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন তাঁরা। এ ঘটনার পরদিন ওই চিকিৎসকের স্বামী বাদী হয়ে তিন নারীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
চিকিৎসকদের ভাষ্য, চিকিৎসক দম্পতিকে মারধরের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। মব সৃষ্টি করে মারধর কোনোভাবেই স্বাধীন দেশে কাম্য নয়। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত রাজপথে তাঁদের আন্দোলন চলবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাসিমুল বারী বলেন, আসামিদের রিমান্ডে নিতে হবে। মব তৈরির পেছনে কোনো মাস্টারমাইন্ড আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে। এটি পরিকল্পিত একটি ঘটনা।
ওই মামলায় ইতিমধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।