রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন।
গ্রেপ্তার মো. ফেরদৌস রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমানের ছেলে। প্রাথমিকভাবে তাঁর কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মতিহার থানায় মামলা করেছিল। পরে মামলাটি সাইবার ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিট ফেরদৌস রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’
গত ১২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে পোড়া কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তদন্তে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।