রাজৈরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

ঝুলন্ত লাশ
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের সেনদিয়া এলাকার নিজ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই নারীর নাম মিতা মণ্ডল (২১)। তিনি রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া এলাকার সুজন বাইনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামের শংকর চন্দ্র মণ্ডলের মেয়ে। সুজন-মিতা দম্পতির তিন বছরের একটি সন্তান আছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে মিতা মণ্ডলের সঙ্গে সুজন বাইনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলে আসছিল। গতকাল রাতে এই কলহের জেরে স্বামী সুজন স্ত্রী মিতাকে হত্যা করে দোতলা ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন মিতার বাবা শংকর চন্দ্র মণ্ডল।

শংকর চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘বিয়ের পর আমার মেয়ের একটি ছেলেসন্তান হয়। ছেলের জন্মের পর থেকেই তার চোখে সমস্যা থাকায় চিকিৎসার জন্য মাঝেমধ্যে ভারতে যেতে হতো। সেখানে যাওয়া-আসার খরচ ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি চলে আসছিল। এরই জেরে আমার মেয়েকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।’

মিতা মণ্ডলের স্বামী সুজন বাইন বলেন, ‘আমি তাকে কেন হত্যা করব? সে আত্মহত্যাই–বা কেন করল, সেটা আমারও প্রশ্ন। আমার বিরুদ্ধে মিতার বাবা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’

রাজৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।