উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশগ্রহণ করলে বহিষ্কার: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, যাঁরাই দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের অতীতের মতোই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
আজ সোমবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মান্দাইল গ্রামে বিএনপির প্রয়াত নেতা আবদুল মতিনের (৫০) পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আবদুল মতিনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে সহায়তাসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আবদুল মতিন নিহত হন বলে দাবি বিএনপির। গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাড়ির পাশের ফসলি মাঠ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। মতিনের মাথায় অন্তত চারটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তিনি উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন।
এর আগে আজ দুপুরের দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন ঘাসিড়া গ্রামে যুবদলের প্রয়াত নেতা ফোরকান আলীর (৪৭) পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে যান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সহায়তা পরিবারের হাতে তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুন্নবী সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হারেছ উদ্দিন, খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান প্রমুখ।
বিএনপি জানিয়েছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ চলাকালে শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় মিছিল থেকে পালানোর সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যুবদল নেতা ফোরকান আলী নিহত হন। যুবদলের নেতাদের দাবি, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ধাওয়া দেওয়ায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।