২০ বছর আগে মানুষ যা কল্পনা করেনি, তা আজ বাস্তব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অ্যাম্বেসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও মিশন প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনিছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল সড়ক নেই। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন; যেসব আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেসব আজ বাস্তব। সেই বাস্তবতা কূটনীতিকেরা নিজের চোখে দেখেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই দিনব্যাপী ‘অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশনপ্রধানদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাত্রার আগে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানেই এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি কূটনীতিকেরা যাতে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন, কাছ থেকে দেখতে পারেন, সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আউটরিচ প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকেরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে, সেই খবরগুলো তাঁদের দেশে পৌঁছাবেন।

দেশে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হয়েছে। আরও নানা কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূলত এসব দেখাতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে তাঁরা কক্সবাজার যাচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। এ ছাড়া ১৯০০ সালের পর চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ, তাঁকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিল।

অ্যাম্বেসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে বিদেশি মিশন প্রধানদের নিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সব সময়ই আলোচনা হয়। অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এখনো যদি সুযোগ হয়, অতিথিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিসর, ফ্রান্স এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আইইউটি, একেডিএনের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশনপ্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই ‘আউটরিচ’ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব নজরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।