নিম্নচাপে উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

নিম্নচাপের কারণে তিন নম্বর সতর্কসংকেত পেয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারটি তীরে ফিরেছে
ছবি: মোহাম্মদ রফিক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি। নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আজ বিকেল চারটার দিকে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময় ছোট ছোট নৌযান চলাচল খুব বিপজ্জনক, তাদের উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরেছে। তবে কিছু ট্রলার হয়তো এখনো আসেনি।

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় আজ সকাল থেকে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বৃষ্টি ঝরছে। এতে জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে। ভ্যাপসা গরম থাকলেও সকাল থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। সারা দিনের বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় নদ-নদীতে বাড়ছে পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলার যেসব স্থান বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল, আমরা সেসব স্থান মেরামত করেছি। এখন তেমন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নেই। তারপরও আমাদের লোকজন মাঠে আছে। নিম্নচাপ এবং দুই-এক দিনের মধ্যে পূর্ণিমা হওয়ার কারণে জেলার নদ-নদীতে পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’